***মেধামান নির্ধারণঃ***
১.১ একাদশ/সমমান শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪ অনুসরণপূর্বক ভর্তির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও মেধামান নির্ণয় করা হবে। আবেদনকারীদের বিভিন্ন কলেজ/মাদ্রাসা/সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন ঐ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট গ্রুপ/শিফট/ভার্সন, আসন সংখ্যা, তার প্রদত্ত পছন্দক্রম এর ভিত্তিতে এবং নিম্ন বর্ণিত (ধারা-১.২-১.৪) নিয়মানুযায়ী মেধামান নির্ধারণপূর্বক একজন আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত করা হবে।
১.২ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মোট ৫% আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% সহ মোট ২% কোটা (EQ) মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে কোটার আসন কার্যকরী থাকবে না, অর্থাৎ উক্ত আসনে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। শিক্ষা কোটার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী যে মহানগর/বিভাগ/জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে মহানগর/বিভাগ/জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রলায় হতে প্রদত্ত সনদপত্র ভর্তির সময় দাখিল করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি. থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই পূর্বক শিক্ষার্থীকে কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত নূন্যতম জিপিএ এক্ষেত্রে শিথিলযোগা হবে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে। উল্লেখ্য যে, যারা উপরের বর্ণনামতে ম্যানুয়ালি আবেদন করবে, তারা একইসাথে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অনলাইন আবেদন পোর্টালের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবে।
১.৩ (ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-র ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
(খ) সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুলা করে হিসাব করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করা হবে।
(গ) বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।
(ঘ) দফা গ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।
(৬) মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।
(চ) এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুগ্রে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।
১.৪ স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূণ্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ১.০ এর উপবিধান ১.২ ও ১.৩ অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে।
0 Comments
Write a comment...
Warning: sharing any spamming link will result in ban from this site.